Home » লকডাউনের মধ্যেই ঈদের ছুটিতে হাকালুকি হাওরে পর্যটকদের ঢল

লকডাউনের মধ্যেই ঈদের ছুটিতে হাকালুকি হাওরে পর্যটকদের ঢল

ঈদুল আজহার ছুটিতে দেশের সর্ববৃহৎ মিঠাপানির জলাভূমি হাকালুকি হাওরে পর্যটকের ঢল নেমেছে। পর্যটকদের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠেছে হাকালুকি হাওর। তবে এখানে ঘুরতে আসা বেশিরভাগ পর্যটকই স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। এদিকে হাওরে পর্যটক বেশি হওয়ায় আয়-রোজগার বেড়েছে স্থানীয় নৌকা চালকদের। ফলে তাদের মুখে হাসি ফুটেছে।

এলাকাবাসী ও বন বিভাগের হাকালুকি বিট অফিস সূত্রে জানা গেছে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে বন্ধ রয়েছে দেশের সব পর্যটন কেন্দ্র। দীর্ঘদিন ধরে ঘরবন্দি মানুষ হাঁপিয়ে ওঠেছেন। তারা একটু প্রকৃতির পরশ পেতে চাইছেন। এ কারেণে ঈদের ছুটিতে মানুষ বেড়াতে আসছেন হাকালুকি হাওরে। ঈদের দিন বুধবার থেকে তৃতীয় দিন শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত সেখানে প্রায় ৮ হাজার পর্যটকের সমাগম ঘটেছে।

সরেজমিন দেখা গেছে, হাওরপাড়ের বড়লেখা উপজেলার তালিমপুর ইউনিয়নের হাল্লা গ্রামের সড়কের উপর সারিবদ্ধভাবে রাখা হয়েছে অনেক গাড়ি। আশপাশের উপজেলাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে হাওরে ছুটে এসেছেন নানা বয়সী মানুষ। যাত্রীদের জন্য অপেক্ষা করছে ছোট-বড় নৌকা। মানুষজন দর কষাকষি করে সেসব নৌকায় উঠে হাওরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
ওয়াচ টাওয়ার থেকে কেউ হাওরের পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়ছেন। সাঁতার কাটছেন। তবে তাদের অনেকে স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। বন বিভাগের হাকালুকি বিটের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা ঘুরতে আসা পর্যটকদের স্বাস্থ্যবিধি মানাতে হিমিশিম খাচ্ছেন।

হাওরে ঘুরতে আসা পর্যটক ফাহিম আহমদ ও রাসেল আহমদ বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘদিন ঘরে থাকতে থাকতে হাঁপিয়ে ওঠেছি। দীর্ঘদিন ধরে পর্যটন কেন্দ্রগুলোও বন্ধ। কোথাও যাওয়া হয়নি। ঈদের কারণে সেই সুযোগটা হয়েছে। তাই হাওরে আমরা বন্ধুরা মিলে ঘুরতে এসেছি। এখানকার পরিবেশ মনোমুগ্ধকর। প্রাণভরে একটু শ্বাস নিতে পারছি। ভালো সময় কেটেছে। শেষ বিকালে সূর্য ডোবার দৃশ্য, আকাশে মেঘের খেলা, হাওরের জলে নৌকা বয়ে চলার দৃশ্য দেখে মন জুড়িয়ে গেছে।

স্থানীয় নৌকাচালক রিয়াজ উদ্দিন বলেন, বর্ষাকালে হাওরে নৌকার চাহিদা বাড়ে। এ সময় আমরা নৌকা চালাই। মানুষজন হাওরে ঘুরতে আসেন। তখন আমাদের বাড়তি আয়-রোজগার হয়।

বন বিভাগের হাকালুকি বিটের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা (জুনিয়র ওয়াইল্ডলাইফ স্কাউট) তপন চন্দ্র দেবনাথ বলেন, ঈদ উপলক্ষে হাওরে প্রতিদিন মানুষ ঘুরতে আসছেন। তিন দিনে প্রায় ৮ হাজার পর্যটকের সমাগম ঘটছে। মানুষজনের নিরাপত্তা দিতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত অনাকাঙ্খিত কোনো ঘটনা ঘটেনি।

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *