1. [email protected] : .com : sk .com
  2. [email protected] : আশফাকুর রহমান : Ashfakur Rahman
  3. [email protected] : বিপ্র দাস বিশু বিত্রম : Bipro Das
  4. [email protected] : Zihad Ul Islam Mahdi : Zihad Ul Islam Mahdi
  5. [email protected] : মোঃ মাহফুজ আহমদ : মোঃ মাহফুজ আহমদ
  6. [email protected] : Najim Ahmed : Najim Ahmed
  7. [email protected] : Md Sh : Md Sh
  8. [email protected] : শুদ্ধবার্তা ডেস্ক : SB 24
  9. [email protected] : shuddhobarta24@ : আবু সুফিয়ান
  10. [email protected] : Abdur Rasid : Abdur Rasid
ঈদে মায়ের কাছে আমরা কোনও আবদার করিনি
       
মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ০২:৪২ পূর্বাহ্ন

ঈদে মায়ের কাছে আমরা কোনও আবদার করিনি

  • সংবাদ প্রকাশের সময় : বুধবার, ২১ জুলাই, ২০২১

আমরা ছোট বেলা থেকেই কৃচ্ছসাধন করা শিখেছি। এটা বাবা-মায়ের কাছ থেকেই শিখেছি। আব্বা যখন জেলের ভেতর থাকতেন, ঈদে কোনও দিনই আমরা ভাইবোনরা মায়ের কাছে কোনও কিছু আবদার করিনি। মাকে বিব্রত করতে চাইনি। আব্বা জেলে, আমাদের আবার কীসের ঈদ!’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সন্তানদের জন্য ঈদ কেমন ছিল সেই স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্ক্রিপ্ট রাইটার নজরুল ইসলাম ঈদ নিয়ে স্মৃতিচারণামূলক ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কারাজীবনের ঈদ নিয়ে শেখ হাসিনার স্মৃতিচারণা’ শীর্ষক সাত মিনিটের এক প্রমাণ্যচিত্র নির্মাণ করেন। সেখানে শেখ হাসিনা নিজেই তার ঈদ এবং ভাই বোনদের ঈদ কেমন যেত সেই বর্ণনা করেন।

নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী, কারাগারের রোজনামচা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানার লেখা থেকে তথ্য নেওয়া হয়েছে—এই প্রমাণ্যচিত্র নির্মাণে।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরাসরি সাক্ষাৎকার নিয়েছেন নজরুল ইসলাম নিজে। ঈদের দিন বিভিন্ন টেলিভিশনে প্রচার হবে এটি। এই প্রমাণ্য চিত্রের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর সংগ্রাম, তার জীবন ও ইতিহাস তুলে ধরেন। নজরুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এই প্রমাণ্য চিত্রটি যখন করি, তখন আমি একরকম সাংবাদিক হয়ে গিয়েছিলাম। দেখেছি বঙ্গবন্ধু কন্যা যখন স্মৃতিচারণা করছেন, বারবার ইমোশনাল হয়ে যাচ্ছিলেন।’

শেখ হাসিনাকে উদ্বৃতি দিয়ে তিনি বলেন, ‘“ঈদের সময় বাবা ভেতরে (কারাগারে) আমরা বাইরে” বলতেই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন, আবার ঠিক সামলেও নেন। সেখানে উঠে আসে বঙ্গবন্ধুর ছেলেমেয়েদের বিশাল স্যাক্রিফাইসের কথা।’ নজরুল ইসলাম জানান, প্রধানমন্ত্রী বলছিলেন, আব্বা জেলে আমাদের আবার ঈদ কীসের? আমাদের তো ঈদ নেই। আমাদের ঈদটা হচ্ছে তখনি, যখন আব্বার সঙ্গে দেখা করতে জেলখানায় যেতাম। এক ঘণ্টা দেখা হতো, ওই এক ঘণ্টাই ছিল আমাদের ভাই-বোনদের ঈদ।’

প্রধানমন্ত্রীর স্ক্রিপ্ট রাইটার আরও বলেন, ‘ওই সময়ে বঞ্চনার যে বেদনা এই বয়সে এসে যখন স্মৃতিগুলো মনে পড়ে তখন স্বাভাবিকভাবেই ইমোশনাল হয়ে যাওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রীর; তা-ই হয়েছেন।’ নজরুল ইসলাম বলেন, ‘এ সময়ে আমার কাছে পুরো সাক্ষাৎকারটা টাচি মনে হয়েছে, ইমোশনালও। প্রমাণ্যচিত্র নির্মাণের মধ্য দিয়ে আমাদের শৈশব আর বঙ্গবন্ধুর ছেলেমেয়েদের শৈশবের মধ্যে তুলনা করা হয়েছে। আমার কাছে মনে হয়েছে, বাবা-মা, দাদা-দাদির কাছে আমরা আবদার করতে পেরেছি, অথচ বঙ্গবন্ধুর সন্তানদের বাবাকে ছেড়ে ঈদ হতো বেদনাময়।’

তিনি আরও বলেন, ‘১৯৪৯ সাল থেকে ১৯৭১ সাল-দীর্ঘ সময় কারাবাস করেছেন বঙ্গবন্ধু। তার পরিবারের ১৬টি ঈদ বঙ্গবন্ধুকে কারাগারে রেখে করতে হয়েছে। বাবাকে তারা কীভাবে মিস করেছেন, বাবাকে ছাড়া সন্তানদের ঈদ কী যে কষ্টের সাত মিনিটের প্রমাণ্য চিত্রে মূলত তাই তুলে আনার চেষ্টা করেছি আমি। এটি আমার কাছে একটি ব্যতিক্রম কাজ মনে হয়েছে।’

Leave a comment

এই বিভাগের আরো সংবাদ
shuddhobarta24
Privacy Overview

This website uses cookies so that we can provide you with the best user experience possible. Cookie information is stored in your browser and performs functions such as recognising you when you return to our website and helping our team to understand which sections of the website you find most interesting and useful.