Main Menu

অসুস্থরা রোজা রাখুন চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী

ডেস্ক নিউজ:

ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের জন্য শুরু হয়েছে পবিত্র রমজান মাস। এ মাসের প্রধান মাহাত্ম্য হচ্ছে ভোররাত থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পানাহার থেকে বিরত থাকা। এই অবস্থাকে শরীরের জন্য সুন্দর একটি ব্যায়াম বলছেন চিকিৎসকরা। সেই সঙ্গে চিকিৎসকরা অসংক্রামক রোগে আক্রান্ত রোগীদের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে রোজা রাখারব্যাপারে গুরুত্ব দিচ্ছেন। চিকিৎসকরা বলছেন, সাধারণ ধারণা হচ্ছে নিয়মিত তিনবেলা খাবার না খেলে সুস্থ ও অসুস্থ মানুষ উভয়েরই ক্ষতি হতে পারে।কিন্তু রোজায় যেহেতু নিয়ম মেনে খাওয়ার ব্যাপারে বিধান রয়েছে সেক্ষেত্রে খুব বেশি অসুস্থ রোগী না হলে তার জন্য রোজা রাখলে তা শরীরের জন্য উপকার হয়। কেননা, ইফতার থেকে সেহরী পর্যন্ত সময়েরমধ্যে খাবার খেলেই একজন  মানুষের সারাদিনের খাদ্য চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হয়। চিকিৎসকরা বলছেন, রোজার নিয়মগুলো যদি একজন  রোজাদার ঠিক মতো মেনে চলেন তাহলে তারপক্ষে শারীরিক, মানসিক ও সামাজিকভাবে পরিপূর্ণ সুস্থ থাকার এটি উপযুক্ত সময়। অসুস্থ রোগীদের রোজা রাখা প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) এর অধ্যাপক ডা. মো. হারিসুল হক বলেন,  যে রোগীরা খুব অসুস্থ থাকেন, দিনে যাদের তিন থেকে চারবার ইনজেকশন নিতে হয়, কিংবা দিনে যাদের প্রায় দুই ঘণ্টা পর পর অল্প করে খাবার খাওয়ার নির্দেশনা রয়েছে তাদের পক্ষে রোজা রাখা সম্ভব না। এছাড়া যে কোনও ধরনের অসুস্থ রোগী রোজা রাখতে পারেন। কিডনি রোগীদের মধ্যে যারা দিনে তিনবেলা ওষুধ খান তারা চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে ওষুধ বদলে নিতে পারেন। যাদের উচ্চ রক্তচাপ আছে তারা প্রথম দুদিন রোজা রাখার পর যদি মনে হয় শরীর বেশি খারাপহচ্ছে  তাহলে রোজা রাখা বাদ দিতে হবে। জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুল্লাহ তালুকদার রাসকিন বলেন, পুরোপুরি শারীরিক স্বাস্থ্য বলতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যে সংজ্ঞা দিয়েছে অর্থাৎ শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক স্বাস্থ্য এর সবগুলোর সঙ্গে রোজার সম্পর্ক রয়েছে। রোজা শৃঙ্খলার মধ্যে জীবনকে নিয়ে আসে। রোজারমাসে মানুষ নিয়মের মধ্যে আসে। শরীরে বাড়তি যে মেদ তৈরি হয় সেগুলো শরীরের বিভিন্ন অংশে জমা থাকে। এগুলো কারণে রক্তনালী সংকীর্ণ হয়ে যায়। নিয়ম মেনে রোজা রাখলে তা দূর হতে পারে।  তিনি বলেন, রোজার সময় প্রথম ৬-৮ ঘণ্টা না খেয়ে থাকার কারণে শরীর ভোররাতে খাওয়া খাবারগুলো ক্ষয় করে। বাড়তি যে অলস ফ্যাট শরীরে জমে থাকে সেগুলো বাকি সময়ের চাহিদা পূরণ করে। এতে কোলেস্টেরল বেশি থাকার ঝুঁকি এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যায়। তিনি বলেন, কোলন, স্তন ক্যান্সার স্থূলকায় মেয়েদের বেশি হয়। তারাবিহর নামাজ কেউ পড়লে তা মধ্যম মানের ব্যায়ামের কাজ করে। এই এক মাসে এটাও একটা ফিজিক্যাল অ্যাক্টিভিটি হয়ে যায়। ‘তবে আমরা যদি রোজাটাকে সংযমের স্থান না নিয়ে গিয়ে রোজা করি তাহলে এগুলোর কোনটিই কাজে লাগবে না’ বলেন তিনি। জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের এই সহযোগী অধ্যাপক সোজসাপ্টা বলেন,সারাদিন রোজা রাখলাম আর  ইফতারের পর থেকে একটানা চর্বিজাতীয় খাদ্য খাওয়া শুরু করলাম এতে করে কোনও উপকার হবে না। ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ যাদের রয়েছে তাদের জন্য রোজা রাখলে খুব উপকার হবে। তবে, অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে রোজা রাখতে হবে। ক্যান্সারের রোগীদের কেমোথেরাপি নিতে হয়। কিছু কম্বিনেশন কেমোথেরাপি আছে যেগুলো খাওয়ার পর প্রচুর পানি খেতে হয় সেক্ষেত্রেরোজা রাখার ঝুঁকি নেওয়া ঠিক হবে না। তবে রেডিওথেরাপি নিচ্ছেন এমন  রোগী যদি চান তাহলে রোজা রাখতে পারবেন। অসুস্থ রোগীর জন্য তো  রোজার বিকল্পের সুযোগ রয়েছে। পরে করা যায়, বা কাফফারা দিতে পারে।

 

Leave a comment






এই বিভাগের আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

shuddhobarta24
Privacy Overview

This website uses cookies so that we can provide you with the best user experience possible. Cookie information is stored in your browser and performs functions such as recognising you when you return to our website and helping our team to understand which sections of the website you find most interesting and useful.