Home » যুক্তরাষ্ট্রে চলে যেতে চান পাকিস্তানের ১০০ ক্রিকেটার!

যুক্তরাষ্ট্রে চলে যেতে চান পাকিস্তানের ১০০ ক্রিকেটার!

পাকিস্তানের ক্রিকেট ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে খুব ভালো আছেন বলেই জানালেন সামি আসলাম। বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান শোনালেন পাকিস্তানের ক্রিকেটের জন্য আরও বড় সতর্কবার্তা। পাকিস্তানের একশর বেশি প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটার যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমানোর ইচ্ছা তাকে জানিয়েছেন।

সামি আসলামের যুক্তরাষ্ট্রে চলে যাওয়া ছিল গত বছর পাকিস্তানের ক্রিকেটের আলোচিত ঘটনা। বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে দুর্দান্ত পারফর্ম করে শুরুতে নজর কাড়েন তিনি। পরে পাকিস্তানের হয়ে খেলেন ১৩ টেস্ট ও ৪ ওয়ানডে। খুব ভালো ছিল না পারফরম্যান্স। টেস্টে ৭ ফিফটিতে ৩১ দশমিক ৫৮ গড়ে করেন ৭৫৮ রান। ওয়ানডেতে পাননি ফিফটি। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটে তিনি ছিলেন নিয়মিত পারফরমার। বাদ পড়ার পর লম্বা সময় আর জাতীয় দলে সুযোগ না পেয়ে গত বছরের শেষ দিকে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান তিনি নতুন জীবনের আশায়। ভবিষ্যতে শক্তিশালী একটি জাতীয় দল গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র চেষ্টা করছে বিভিন্ন দেশের ক্রিকেটারদের আকৃষ্ট করতে। শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজসহ নানা দেশ থেকে অনেকেই চলে যাচ্ছেন সেখানে।

পাকিস্তানের একটি ক্রিকেট ওয়েবসাইটকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সামি জানালেন, তার মতো আরও অনেকেই ইচ্ছুক নতুন এই চ্যালেঞ্জ নিতে। “ আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি, পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে না থাকা অনেক ক্রিকেটার যুক্তরাষ্ট্রে থিতু হতে চায়। একশর বেশি প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটারের ফোন পেয়েছি আমি, তারা সবাই খোঁজখবর নিচ্ছে। এমনকি পাকিস্তানের ঘরোয়া ক্রিকেটের সেরা পারফরমাররাও এখানে আসতে চায়।”

‘এই মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্র ক্রিকেট চাইছে অনেক অস্ট্রেলিয়ান ও দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটারদের এখানে আনতে। তবে অনেক পাকিস্তানি ক্রিকেটার এখানে আসতে মরিয়া ও চেষ্টা করে যাচ্ছে। কয়েকজন চুক্তি স্বাক্ষর করার কাছাকাছিও আছে।’

২৫ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার বললেন, তিনি নিজে খুব ভালো আছেন। স্বদেশ ছেড়ে যাওয়ার কঠিন সিদ্ধান্তের কারণও ব্যাখ্যা করলেন তিনি। ‘যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে খেলার অনুমতি পেতে তিন বছর লাগবে, ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে আমি খেলার জন্য বিবেচিত হব। এক শতাংশ আক্ষেপও নেই আমার। পাকিস্তানের ক্রিকেটে দুই বছর হতাশায় ডুবে থাকার পর এখানে খুবই ভালো আছি।’

‘গত ৫-৬ বছরে ঘরোয়া ক্রিকেটের সব সংস্করণে পারফর্ম করার পরও নির্বাচকদের উপেক্ষা পেতে পেতে ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিলাম। দলে নেওয়া হলেও দু-এক ম্যাচ খেলিয়ে বাদ দেওয়া হতো। কঠিন কন্ডিশনে পারফর্ম করার পরও বাদ পড়েছি। কেউ কেউ আছে, ১০ ম্যাচে ব্যর্থ হলেও সুযোগ পায়, আমি দুই ম্যাচ খারাপ করলেই বাদ।’

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *