Main Menu

‘জৈব অস্ত্র’ করোনা নিয়ে কথাবার্তা ২০১৫ সালেই, ফাঁস চাঞ্চল্যকর তথ্য

২০১৯ সালে চিনের ইউহান শহরে খোঁজ মিলেছিল করোনা ভাইরাসের। কিন্তু এর অঙ্কুর তৈরি হয়েছিল ২০১৫ সালেই। সম্প্রতি চিনের বিজ্ঞানী ও স্বাস্থ্য আধিকারিকদের লিখিত একটি নথি প্রকাশ পেয়েছে। সেখানে SARS করোনা ভাইরাসকে “জৈব অস্ত্রের নতুন যুগ” বলে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। উইকেন্ড অস্ট্রেলিয়ান নামে একটি পত্রিকা থেকে জানা গিয়েছে, ২০১৫ সালে মানুষের শরীরে রোগ ছড়িয়ে দেওয়া এই ভাইরাসকে জৈব অস্ত্র হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছিল।

এই প্রতিবেদন ‘The Unnatural Origin of SARS and New Species of Man-Made Viruses as Genetic Bioweapons’ নামে প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ জৈব অস্ত্র দিয়েই লড়া হবে। আর তাই এই মানুষের দ্বারা এই কৃত্রিম ভাইরাস সৃষ্টি করা হয়েছিল। তথ্য এও বলেছে, চিনা মিলিটারি বিজ্ঞানীরা করোনা মহামারীর ৫ বছর আগে এই SARS করোনা ভাইরাস নিয়ে আলোচনা করেছিলেন। Australian Strategic Policy Institute (ASPI)-এর এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর পিটার জেনিংস বলেছেন যে, এটি স্পষ্ট দেখাচ্ছে যে চিনা বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন স্ট্রেন নিয়ে চিন্তা ভাবনা করেছিলেন। কীভাবে এটি মোতায়েন করা যায়, সে নিয়েও ভেবেছিলেন তাঁরা। মিলিটারিদের ব্যবহারের জন্য যে প্যাথোজেন ছিল তা দুর্ঘটনাক্রমে মুক্তি পেয়ে গিয়ে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে।

তিনি এও বলেছেন, এই কারণেই চিন COVID-19 এর উদ্ভব নিয়ে সেভাবে মাথা ঘামাচ্ছে না। যদি ওয়েট মার্কেট থেকেই এই ভাইরাস ছড়াত তবে চিন এর উৎপত্তি নিয়ে আগ্রহ দেখাত। সহযোগিতাও করত। কিন্তু চিন যে তা করছে না, তার কারণ এটি চিনেরই তৈরি জৈব মারণাস্ত্র বলে মনে করেন তিনি। এর বিরোধিতা করা যায় না। সাইবার সিকিউরিটি স্পেশালিস্ট রবার্ট পটার চিনা সরকারের এই ফাঁস হওয়া তথ্যের বিশ্লেষণ করেছেন। পত্রিকার তরফে এ নিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি বলেন, ওই সব তথ্য ভুয়ো নয়। সম্পূর্ণ আসল নথি সেগুলি। কিন্তু এর গুরুত্ব কোনও বিশেষজ্ঞকেই বিশ্লেষণ করতে হবে বলে জানান তিনি।

Leave a comment






এই বিভাগের আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

shuddhobarta24
Privacy Overview

This website uses cookies so that we can provide you with the best user experience possible. Cookie information is stored in your browser and performs functions such as recognising you when you return to our website and helping our team to understand which sections of the website you find most interesting and useful.