Home » মাদ্রাসা ছাত্রীকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে গণধর্ষণ

মাদ্রাসা ছাত্রীকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে গণধর্ষণ

সিলেটের দক্ষিণ সুরমার মোগলাবাজার থানাধীন তোরখলা এলাকা থেকে মাদ্রাসা ছাত্রীকে (১৪) জোরপূর্বক তুলে নিয়ে গণধর্ষণ করে ৮ যুবক।

এ ঘটনায় কিশোরীর পিতা বাদী হয়ে শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) মোগলাবাজার থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেছেন।

এদিকে জালালাবাদ থানাধীন খালপাড় গ্রামের সোনা মিয়ার ছেলে আদিলকে (২২) ও বিশ্বনাথ থানাধীন মাতাবপুর গ্রামের চেরাগ আলীর ছেলে মুহিবুর রহমানকে (৩৭) ধর্ষণ মামলায় গ্রেফতার করে পুলিশ।

এমনকি কিশোরীর পরিবারের কাছে ৩ লাখ টাকা মুক্তিপন দাবি করেন সিএনজি অটোরিকশা চালক মুহিবুর রহমান। কিশোরীর পরিবার অনেক খুঁজাখুঁজির পর তাকে পুলিশের সহযোগীতায় উদ্ধার করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন জালালাবাদ থানার ওসি নাজমুল হুদা খান।

তিনি বলেন, কিশোরী বই নিয়ে আসার জন্য মাদ্রাসায় যাচ্ছিলো। এসময় জোরপূর্বক সিএনজি অটোরিকশায় তাকে তুলে নিয়ে জালালাবাদ থানাধীন খালপাড়স্থ মামলার ২নং আসামী আদিলের দোকানের পেছনের একটি ঘরে আটকে রেখে গণধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ ২জনকে গ্রেফতার করেছে। সেই সাথে মামলার অন্যান্য আসামীদেরকে গ্রেফতার করার জন্য অভিযান অব্যাহত রেখেছে পুলিশ।কিশোরী বর্তমানে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

পুলিশ জানায়, মাদ্রাসা ছাত্রী (১৪) গত ফেব্রুয়ারী সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পায়ে হেটে বই আনার মোগলাবাজার থানাধীন তোরখলা এলাকার একটি মাদ্রসায় যাচ্ছিল। এসময় সিএনজি অটোরিকশা চালক মুহিবুর রহমান তাহার সিএনজি অটোরিকশা (সিলেট-থ-১২-১২৪৭) জোরপুর্বক তুলে অচেতন করে ফেলে। এরপর তাকে জালালাবাদ থানাধীন খালপাড়স্থ ২নং আসামী আদিলের দোকানের পেছনের একটি কক্ষে আটকিয়ে রেখে মামলার ৮ আসামী কিশোরীকে গণধর্ষণ করে।

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *