প্রতিবেদক :: সিলেটের সকল পাথর কোয়ারি খুলে দেওয়ার দাবিতে বিভাগজুড়ে ‘বৃহত্তর সিলেট পাথর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ’র ডাকা ৭২ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট আজ মঙ্গলবার ভোর ৬টা থেকে শুরু হয়েছে। সেই সঙ্গে সিলেট জেলায় চলছে সি.এন.জি চালিত অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়ন রেজি. নং-চট্ট-৭০৭ ও সিলেট জেলা অটোরিকশা/অটোটেম্পু শ্রমিক জোট রেজি. নং-চট্ট-২০৯৭-এর সমন্বয়ে গঠিত ঐক্য পরিষদের ডাকে ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচি।
এ অবস্থায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। গতকাল সারাদিন ও আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে অফিস ও কর্মস্থলগামীদের বেশি ভোগান্তি পোহাতে দেখা গেছে।
এই সুযোগে সিলেটে রিকশাগুলোও অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে যাত্রীদের কাছ থেকে। একই অবস্থা রাইড শেয়ারভিত্তিক অ্যাপস কোম্পানি পাঠাও-উবারেরও।
যাত্রীদের অভিযোগের ভিত্তিতে জানা গেছে, রাইট শেয়ারিংয়েও জিম্মি আচরণ শুরু হয়েছে। অ্যাপস ভিত্তিক ভাড়ায় যাত্রী না নিয়ে কন্ট্রাকে যাতায়াত করছে তারা। ফলে বাড়তি পয়সা গুনতে হচ্ছে যাত্রীদের। তাছাড় একজনের বদলে দু-তিনজন যাত্রীও বহন করছে রাইডাররা। সেই সঙ্গে নেই যাত্রীদের মাথার হেলমেট।
চালকরা বলছেন, অ্যাপসভিত্তিক চললে অনেক সময় যাত্রী দূরে দূরে থাকে। এতে সময় বেশি লাগে। কিন্তু হাতের কাছে যাত্রী নিলে সে সময় লাগে না। এছাড়া কন্ট্রাক্টে লাভও বেশি হচ্ছে। ভাড়াও দ্বিগুণেরও বেশি আসছে।
ধর্মঘটের কারণে যাত্রীরা নিরূপায় হয়ে রাইট শেয়ারিংয়ের বাইক কিংবা প্রাইভেটে গন্তব্যে রওনা হচ্ছে। সিলেটে এ সুযোগ নিচ্ছেন পাঠাও-উবার চালকরা।
বলা চলে, ধর্মঘটের সুবাদে সিলেটে কপাল খুলেছে পাঠাও-উবার চালকদের। কেননা দ্বিগুণ ভাড়া হাঁকছেন তারা। বাধ্য হয়ে উঠতেই হচ্ছে চরম ভোগান্তিতে থাকা নগরবাসীর।
মঙ্গলবার সকাল থেকে সিলেটের চন্ডিপুল, হুমায়ুন চত্বর, বন্দরবাজার, জিতু মিয়ার পয়েন্টসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।