Home » বিশ্বনাথে একাধিকবার হামলার শিকার একটি পরিবার

বিশ্বনাথে একাধিকবার হামলার শিকার একটি পরিবার

ডেক্স রিপোর্ট : সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার খাজাঞ্চি ইউনিয়নের বিলপার পূর্ব হাটি গ্রামের মনোহর আলী (মনাই) মিয়ার পরিবার ৪র্থ বারের মত হামলা স্বীকার হয়েছেন।সর্ব শেষ ২৪ জুন বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় দিকে মনাই মিয়ার ছেলে জুয়েলকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করা হয়। ডেগারের আঘাতে ২খন্ড হয়ে যায় তার মাতা।রক্তাক্ত জখম অবস্থায় তাকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।আজ ৫দিন চিকিৎসার পর এখনও জ্ঞান ফিরেনি তার। বর্তমানে সে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
এ ঘটনায় আহত জুয়েল ভাই রুহেল বাদি হয়ে বাংলাদেশ দন্ডবিধি আইনের ৩০৭/৩২৬/৩২৫/৩২৩/৪৪৭ /১৪৩/১১৪/৩৪ ধারা মতে ৭ জনকে আসামি করে বিশ্বনাথ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন, (মামলা নং১৭, তা, ২৬/০৬/২০২০ইং)।
এ ঘটনার পর থানা পুলিশ জুয়েলের চাচাতো ভাই সন্ত্রাসী সোহেলকে গ্রেফতার করেছে। কিন্তু বাকি আসামিরা এখন ও প্রকাশ্যে ঘুরাফেরা করছে এবং জুয়েলের পরিবারের বাকি সদস্যদের হত্যার হুমকি দিচ্ছে। গরিব অসহায় এ পরিবারটিকে বাড়ি ঘর থেকে উচ্ছেদের জন্য একাধিকবার হামলা করা হয়। প্রায় দেড় বছর পূর্বে জমির আইল নিয়ে বিরোধের জের ধরে জুয়েলের পিতা মনাই মিয়াকে বাড়ির রাস্তায় কাদিরের নেতৃত্বে হামলা করে মনাই মিয়ার স্ত্রী ও দুই কন্যাকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে জখম করা হয়। বর্তমানে মেয়েটি এখন অসুস্থ আছে। থানায় মামলা হলে পুলিশ কোন আসামী গ্রেফতার করেনি। ফলে আইনের ফাঁক ফোঁকরে আসামিরা জামিনে মুক্তি পেয়ে যায়। এ ঘটনার পর রাজাগঞ্জ বাজারে সেবুলের নেতৃত্বে রাতের বেলায় দা দিয়ে তার দুই হাতের আঙ্গুল কেটে জখম করা হয়। এ মামলাটি বর্তমানে সিলেটের পিবিআই তদন্ত করছে।
গত শবে বরাতের দিন জুয়েলের পাশের ঘরে উচ্চ স্বরে গান বাজনা করতে থাকলে নামা্যের সময় জুয়েলের মা বাধা দেওয়ায় একই সন্ত্রাসীরা তার মা দুই বোন ও ভাই রুহেল কে গুরুতর জখম করলে তাদের ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তারা হাসপাতালে ভর্তি থাকা অবস্থায় সোহেল পাল্টা তাদের উপর সাজানো একটি মামলা দায়ের করে এবং জুয়েল ও থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে। এ ঘটনায় বিশ্বনাথ থানার এস আই সঞ্জয় কুমার দাশ তদন্তে এসে দুই ঘন্টা জুয়েলের মামলার আাসামি সোহেলের ঘরে আসামিদের নিয়ে বৈঠক করে খাওয়া দাওয়া শেষে ঘর থেকে বেরিয়ে আসামিদের সামনে বাদি জুয়েলকে বলেন আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারলাম তোমরা তোমাদের মা ও দুই বোনকে মারপিট করে থানায় সাজানো অভি্যোগ দায়ের করেছ। দারগার এমন কথায় আসামিরা উৎসাহ ও আশকারা পেয়ে যায়। পরে বিষয়টি পুলিশের একজন উর্ধতন কর্মকর্তা কে জানালে জুয়েলের মামলাটি রেকর্ড করা হয়। গত ২৪ জুন আসামিরা আগের রাতে বৈঠক করে পূর্ব পরিকল্পনা মতে জুয়েলকে হত্যার জন্য আক্রমণ করা হয়
গ্রামের অধিকাংশ লোক গরিব এ পরিবারটির পাশে দাড়ালে তাদের বিরুদ্ধে ও আসামিরা কিপ্ত। তিন পঞ্চায়েতের মুরব্বিগণ গ্রামে শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য গ্রাম্য শালিসের চেষ্টা করলে আসামিরা কোনো কিছুই কর্ণপাত করছে না। এই পরিবারটিকে রক্ষার জন্য পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তার নিকট এলাকাবাসী জোর দাবি জানিয়েছেন।

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *