1. abusufian7389@gmail.com : .com : sk .com
  2. ashfakur85@gmail.com : আশফাকুর রহমান : Ashfakur Rahman
  3. b.c.s.bipro@gmail.com : বিপ্র দাস বিশু বিত্রম : Bipro Das
  4. zihad0292@gmail.com : Zihad Ul Islam Mahdi : Zihad Ul Islam Mahdi
  5. ahmedmdmahfuz@gmail.com : মোঃ মাহফুজ আহমদ : মোঃ মাহফুজ আহমদ
  6. nazimahmed2042@gmail.com : Najim Ahmed : Najim Ahmed
  7. shahadotchadni@gmail.com : Md Sh : Md Sh
  8. ashfakur86@gmail.com : শুদ্ধবার্তা ডেস্ক : SB 24
  9. shuddhobarta24@gmail.com : shuddhobarta24@ : আবু সুফিয়ান
  10. surveyor.rasid@gmail.com : Abdur Rasid : Abdur Rasid
মানুষ সুস্থ হচ্ছে তো আমিই তার প্রমাণ
       
মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫, ০৪:২৯ অপরাহ্ন

মানুষ সুস্থ হচ্ছে তো আমিই তার প্রমাণ

  • সংবাদ প্রকাশের সময় : বুধবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২০

করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে গিয়ে আক্রান্ত প্রথম চিকিৎসক ডা. ফয়সাল জাহাঙ্গীর পলাশ সুস্থ হয়ে ১২ এপ্রিল বাড়ি ফিরেছেন। বাড়ি ফিরলেও এখন তিনি ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টিনে থাকবেন। টেলিফোন তিনি জানালেন চিকিৎসাধীন থাকার সময়কার কথা। ডা. পলাশ বলেন, ‘আমি এখন সুস্থ। মানুষ সুস্থ হচ্ছে তো, আমিই তার প্রমাণ। একজন চিকিৎসক হিসেবে আবার আমি কাজে ফিরবো। আমরা রোগী না দেখলে তারা যাবেন কোথায়?’

হাসপাতালের দিনগুলোর কথা মনে করে তিনি বলেন, ‘শুরুর দিকে হাসপাতালে একরুমে একা একা থাকতাম। কেউ পাশে ছিল না। ২১ দিনের হাসপাতাল লাইফটা অন্যরকম। থাকতে কষ্ট হতো। বাড়িতে থাকা তিন বছরের মেয়ের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলে, বন্ধুদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেই সময় কাটতো।’

ডা. পলাশ মিরপুরের ডেলটা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত। কীভাবে ও কবে আক্রান্ত হলেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘হাসপাতাল থেকে আক্রান্ত হয়েছিলাম। ১৭ মার্চ রাতে টোলারবাগে আক্রান্ত রোগী (পরে মারা গেছেন) হাসপাতালে আসেন। তার আগে থেকেই শ্বাসকষ্ট, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ছিল তার। তাকে আইসিইউতে (নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র) নেওয়া হয়। যেহেতু তার অবস্থা খারাপ ছিল, তাই আইইডিসিআরকে জানানো হয়। তারা ১৯ মার্চ বিকালে এসে তার নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে যায়। পরের দিন দুপুরে আমাদের জানায় তিনি করোনা পজিটিভ। ২১ মার্চ ভোর রাতে তিনি মারা যান। আর আমিই তাকে রিসিভ করেছিলাম।’

তিনি বলেন, ২০ মার্চ তার জ্বর হয়। পরের দিন তিনি জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)-কে জানালে সেদিনই তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়। সেদিন সন্ধ্যায় তারা তাকে কনফার্ম করেন তিনি করোনা পজেটিভ।

ডা. পলাশ বলেন, ‘প্রথম দিন কেবল জ্বর ছিল। আমি বাসাতেই আইসোলেশনে চলে যাই। ২২ মার্চ শ্বাসকষ্ট শুরু হলে ভয় পাই। এরপর আইইডিসিআরকে ফোনে জানালে তারা হাসপাতালে ভর্তি হতে বলে। তারাই কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করে অ্যাম্বুলেন্স পাঠায়। অ্যাম্বুলেন্সে যাওয়ার সময় এত শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল যে অক্সিজেন দিতে বলি। হাসপাতালে যাওয়ার পর রাতে কয়েকবার নেবুলাইজ করতে হয়, সারা রাত অক্সিজেন দেওয়া ছিল। পরে ডায়রিয়া ছিল। কিন্তু শ্বাসকষ্ট ধীরে ধীরে কমে যায়। তবে কাশি আর সর্দি ছিল কয়েকদিন।’

করোনা পজেটিভ জানার পর কী মনে হয়েছিল জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি আসলে মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিলাম। যেহেতু নিজে চিকিৎসক এবং টোলারবাগের রোগীকে আমিই ডিল করেছি, তাই কিছুটা বুঝতে পেরেছিলাম। করোনা পজেটিভ শোনার পরে ইজিলি নিয়েছিলাম, ভয় পাইনি। তবে যেদিন শ্বাসকষ্ট শুরু হয় সেদিন ভয় পেয়েছিলাম। মনে হচ্ছিল হয়তো মারা যেতে পারি। ৮ ও ১০ এপ্রিল পরপর দুই টেস্টে নেগেটিভ আসে। এরপর ভালো লেগেছে, নিজেকে রিলিফ মনে হয়েছিল।’

তিনি বললেন, ‘মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন, মারাও যাচ্ছেন। আর আমরা ডাক্তাররা যদি কাজ না করি, তাহলে মানুষ সেবা পাবে কোথা থেকে। তাই আবার আমি কাজে ফিরবো, মানুষের সেবা করবো।’

Leave a comment

এই বিভাগের আরো সংবাদ
shuddhobarta24
Privacy Overview

This website uses cookies so that we can provide you with the best user experience possible. Cookie information is stored in your browser and performs functions such as recognising you when you return to our website and helping our team to understand which sections of the website you find most interesting and useful.