Main Menu

গ্রীসের পথে বালাগঞ্জের ফয়ছলের মৃত্যু: ৬ দিন পর লাশ উদ্ধার

তুর্কি থেকে গ্রীসের যাওয়ার পথে তীব্র ঠান্ডায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন এনামুল এহসান জায়গীরদার ফয়ছল (৩০)। তিনি সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার বোয়ালজুড় ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের মহুদ আহমদ জায়গীরদারের দ্বিতীয় ছেলে। মারা যাওয়ার ৬দিন পর অনেক চেষ্টা করে বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) গ্রীসের সীমানার কাছাকাছি পাহাড়ী এলাকায় বরফের তল থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

ফয়ছলের এক সফরসঙ্গীর বরাত দিয়ে তার পরিবারের সদস্যরা জানান, ৪ ফেব্রুয়ারি ফয়ছলসহ কয়েকজন গ্রীসের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। জঙ্গল এলাকা পাড়ি দিয়ে তুর্কি থেকে গ্রীসের সীমানায় প্রবেশের পর ৭ ফেব্রুয়ারি ভোরের দিকে গাড়ীযোগে প্রায় আধাঘন্টা পথপাড়ি দিয়ে একটি নির্জনস্থানে ফয়ছলসহ তার সাথে থাকা ৫ জনকে নামিয়ে দেয়া হয়। সেখানেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি।

ধারণা করা হচ্ছে তুষারঘেরা পাহাড়ে অতিরিক্ত ঠান্ডার কারণে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা যান। সঙ্গীরা মুঠোফোনে ফয়ছলের মৃত দেহের ছবি এবং ওই স্থানটির ছবি তুলেন। এসময় দালালের লোকজন সেখানে গিয়ে ফয়ছলের লাশ ফেলে রেখে তার সঙ্গীদের ভয় দেখিয়ে সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যায়। এরপর থেকে গ্রীসের দালাল লাপাত্তা হয়ে যাওয়ায় ওই স্থানটি চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি।

গত ৯ ফেব্রুয়ারি ফয়ছলের সফরসঙ্গী ওই যুবক ফয়ছলের বাড়িতে মৃত্যুর সংবাদটি জানিয়ে মৃতদেহের ছবি পাঠান। সেই ছবি ভাইরাল হলে দুতাবাসের সহযোগিতায় ওই স্থানটি চিহ্নিত করে বরফের তল থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের ছোটভাই মো. রাজিমুল এহসান জায়গীরদার রুজেল ও ফুফাতো ভাই মো. বুরহান উদ্দিন জায়গীরদার জানিয়েছেন, বেশ কয়েকবছর পূর্বে ভিসা নিয়ে উমান যান।

ওমান থাকাবস্থায় কয়েকবার দেশে আসা-যাওয়া করেছেন। মাস ছয়েক পূর্বে তিনি ওমান থেকে ইরাক হয়ে তুর্কি যান।  সর্বশেষ ৪ ফেব্রুয়ারি বাড়িতে ফোন করে তার জন্য দোয়া করার কথা বললেও গ্রীসে যাওয়ার বিষয়টি জানাননি। নিহত ফয়ছল গত শুক্রবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) গ্রীস অনুপ্রবেশকালে গ্রীসের সীমান্ত এলাকায় মুত্যুবরণ করেছেন বলে ধারণা করছেন।

তারা সংশ্লিষ্ট দালালের মাধ্যমে ফয়ছলের মৃত্যুর বিষয়ে গত রোববার পরিবারের লোকজন সংবাদ পেয়েছেন। এছাড়া গ্রীস পৌঁছে যাওয়া অন্যদের কাছ থেকেও গত মঙ্গলবার ফয়ছলের মৃতদেহের বিভিন্ন ছবি সংগ্রহ করা হয়। তার মর্মান্তিক মৃত্যুতে পরিবার ও স্বজনদের শোকের মাতম চলছে।

Leave a comment






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *