Home » নাম কী? ট্রেন দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া শিশুটি খুঁজছে চেনা মুখ

নাম কী? ট্রেন দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া শিশুটি খুঁজছে চেনা মুখ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা স্টেশনে মঙ্গলবার ভোররাতে সিলেট থেকে চট্টগ্রামগামী উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেন ও চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী তূর্ণা এক্সপ্রেস ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে ১৬ জনের। 

নাম কী? বলতে পারছে না সে। আশেপাশে কাউকে চেনো? তাতেও অবাক দৃষ্টিতে চেয়ে। সঙ্গে কান্না। বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে ভাগ্যের জোরে বেঁচে গিয়েছে শিশুটি। কিন্তু তার বাবা-মা বা আত্মীয়স্বজনের খোঁজ মিলছে না। 

দুর্ঘটনাগ্রস্ত উদয়ন এক্সপ্রেসে সওয়াল ছিল শিশুটি। দুর্ঘটনায় বেঁচে গিয়েছে সে। কিন্তু মা-বাবা বা কোনও অভিভাবকের সন্ধান মেলেনি। তাকে রাখা হয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে। সেই শিশুটিই এখন ভাইরাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। নেটিজেনদের আর্তি, আত্মীয়রা যোগাযোগ করুন। রেলওয়ে পুলিশের সঙ্গে অথবা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে যোগাযোগ করুন।

বলে রাখি, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা স্টেশনে মঙ্গলবার ভোররাতে সিলেট থেকে চট্টগ্রামগামী উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেন ও চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী তূর্ণা এক্সপ্রেস ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে ১৬ জনের। আহত হয়েছেন শতাধিক।

তদন্তে জানা গিয়েছে, ট্রেনের অটো ব্রেকে ইট চাপা দিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন তূর্ণা নিশীথা এক্সপ্রেসের চালক তাসের উদ্দিন ও সহকারী চালক অপু দে। জানিয়েছেন বাংলাদেশ রেলের পূর্বাঞ্চলের জিএম নাসির উদ্দিন আহমেদ। কী এই অটো ব্রেক সিস্টেম। নাসির উদ্দিন সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, ট্রেন চলে এই অটো ব্রেক সিস্টেমে। ওই অটো ব্রেক সিস্টেমে চাপ দিলেই চলে ট্রেন। ব্রেকে চাপ না দিলে ট্রেন এগোয় না। মন্দবাগ স্টেশনে যাওয়ার আগেই ওই অটো ব্রেকে ইট চাপা দিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন দুই চালক। ট্রেনটি নন স্টপ হওয়ায় ওই বুদ্ধি খাটান চালকরা।

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *