নেপাল ম্যাচের ৭৫ মিনিটে মাঠ ছাড়েন হামজা। তার পরিবর্তে মাঠে নামেন কিউবা মিচেল। বদলি হওয়াটা স্বাভাবিক ব্যাপার, তবে হামজার মাঠ ছেড়েছেন চোট পেয়ে। তাতে শঙ্কা তৈরি হয়, আগামী ১৮ নভেম্বর ভারতের বিপক্ষে এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বে হামজা খেলতে পারবেন কি না সেটি নিয়ে।
ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে অবশ্য সব শঙ্কা উড়িয়ে দেন বাংলাদেশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। এই ম্যাচে হামজা ছাড়াও চোট পান জায়ান আহমেদ। দুজনের কাঁধে ভর দিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনিও। তার বিষয়েও ইতিবাচক কাবরেরা।
বাংলাদেশ কোচ বলেন, ‘বড় কিছু নয়। মাংসপেশিতে কিছুটা চোট লেগেছে। তবে, তাদের (হামজা-জায়ানের) চোট গুরুতর নয়। এমন কিছু হয়নি যে তারা ভারত ম্যাচের আগে ঝুঁকিতে আছে। তাদের একটু বিশ্রাম দরকার। ভারত ম্যাচ তারা থাকছেন।’
জাতীয় স্টেডিয়ামে নেপালের বিপক্ষে প্রথমার্ধে যেখান থেকে শেষ করেছিলেন হামজা, দ্বিতীয়ার্ধ শুরু করলেন সেখান থেকেই। ৪৬ মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে লব করলেন অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। বল খুঁজে নিল হামজাকে। বলা ভালো হামজা খুঁজে নিলেন বলকে। পরের মুহূর্তে উত্তাল পুরো জাতীয় স্টেডিয়াম। হামজার দুর্দান্ত বাইসাইকেল কিকে সমতা ফেরায় বাংলাদেশ।
মিনিট তিনেক বাদে ফের হামজার ঝলক। এবার পেনাল্টি পেল বাংলাদেশ। গুণে গুণে ছয় পা পেছালেন হামজা। নিলেন স্পটকিক। নেপাল গোলরক্ষক কিরণ কুমার লিম্বু ঝাঁপালেন ডান দিকে। পানেনকা শটে হামজা আলতো করে সোজা জালে বল ফেললেন।
টানা দুই গোলে লিড নেয় বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত সেটি ধরে রাখা যায়নি। ৯৩ মিনিটে গোল হজম করে ২-২ গোলের ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ। যা হতাশ করেছে সবাইকে।

















