ইরান-ইসরায়েল সংঘাত আপাতত বন্ধ হলেও ফিলিস্তিনের গাজাবাসীর এখনো রেহাই মিলছে না। প্রতিদিন সেখানে নিহত হচ্ছে অর্ধশতাধিক। সম্প্রতি যারা মারা যাচ্ছে, তাদের একটি অংশ ত্রাণের জন্য গিয়েছিল। তেমনই ত্রাণ নিতে গিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় গাজায় প্রাণ গেছে ১৪ জনের। আর একদিনে নিহত হয়েছে অন্তত ৫১ জন।
গাজার হাসপাতালের কয়েকটি সূত্র এবং সেখানকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। প্রতিবেদনে বলা হয়, নিহতদের মধ্যে একটি শিশুও রয়েছে।
আল জাজিরা বলছে, মার্কিন-সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশনের একটি ত্রাণবিতরণ কেন্দ্রের কাছে সাহায্যের জন্য অপেক্ষা করছিলেন ওই ব্যক্তিরা। ওই সময় ইসরায়েল হামলা চালায়। এ ব্যাপারে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে এখনো কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় সামরিক আগ্রাসন চালানো শুরু করে ইসরায়েল। গাজার স্থানীয় কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় গাজায় ৫৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে এক লাখেরও বেশি মানুষ।
এদিকে, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার খান ইউনিসে বিস্ফোরণে ৭ জন ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) বরাত এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
সরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার দক্ষিণ গাজায় তাদের সাঁজোয়া বাহনের সঙ্গে যুক্ত থাকা একটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটে এবং সঙ্গে সঙ্গে আগুন ধরে যায়। এতে ইসরায়েলি বাহিনীর সাতজন সদস্য নিহত হন।
নিহতদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৬ জন সেনার নাম প্রকাশ করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। তাঁদের বয়স ১৯ থেকে ২১ বছরের মধ্যে। নিহত সপ্তম সেনার নাম এখনো জানাতে পারেনি আইডিএফ।
আইডিএফ আরও জানিয়েছে, অন্য আরেক রকেট হামলায় ইসরায়েলের দুই সেনা আহত হয়েছেন।
এর আগে মঙ্গলবার গাজার উত্তরে জাবালিয়ায় তিন ইসরায়েলি সেনা নিহত হওয়ার দাবি করে হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসসাম ব্রিগেড। অন্যদিকে আল-কুদস ব্রিগেড মধ্য খান ইউনিসে একটি শক্তিশালী বিস্ফোরক ডিভাইস দিয়ে একটি ইসরায়েলি সামরিক যান ধ্বংস করার দাবি করে।
বার্তা বিভাগ প্রধান