কাম্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জনের প্রাণহানির পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সৃষ্টি হওয়া চলমান উত্তেজনা কমাতে নয়াদিল্লি এবং ইসলামাবাদকে উৎসাহিত করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বুধবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে এ বিষয়ে ফোনে কথা বলেছেন।
সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদন এমন তথ্য দিয়েছে। প্রতিবেদন বলছে, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতকে সহযোগিতা করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন রবিও। একই সঙ্গে কাশ্মীরে ‘অবিবেচনাপ্রসূত’ হামলার তদন্তে পাকিস্তানের সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ দূত উভয় পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশীর নেতাদের তাদের মধ্যে উত্তেজনা কমাতে কাজ করার জন্য অনুরোধ করেছেন। জয়শঙ্করের সাথে ফোনে কথা বলার সময় রুবিও নয়াদিল্লির প্রতি সংহতি প্রকাশ করেন এবং পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় নিহতদের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতকে সহযোগিতার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস জানিয়েছেন, এ ছাড়া পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার ক্ষেত্রে ভারতকে সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। দক্ষিণ এশিয়ায় উত্তেজনা কমাতে এবং শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে রুবিও ভারতকে পাকিস্তানের সাথে কাজ করার জন্য উৎসাহিত করেছেন।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের সাথে ফোনালাপে রুবিও পাকিস্তানকে ২২ এপ্রিল কাশ্মীরে হামলার নিন্দা জানাতে এবং তদন্তে সহযোগিতা করতে বলেন। ব্রুস বলেন, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই অযৌক্তিক হামলার তদন্তে পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন।
রুবিও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে উত্তেজনা কমাতে, সরাসরি যোগাযোগ পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে এবং দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে ভারতের সাথে কাজ করার জন্য বলেন। ব্রুস বলেন, ভারত ও পাকিস্তানের উভয় নেতা সন্ত্রাসীদের সহিংসতার জন্য জবাবদিহির ব্যবস্থা করতে তাদের অব্যাহত প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
পেহেলগাম সন্ত্রাসী হামলার পর এরই মধ্যে ভারত–পাকিস্তান কূটনৈতিক সম্পর্ক হ্রাস করে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। উত্তেজনা চলছে সীমান্তেও। হামলার পেছনে পাকিস্তান-ভিত্তিক গোষ্ঠীগুলোকে দায়ী করেছে ভারত। তবে পাকিস্তান এ দাবি অস্বীকার করে আসছে।