1. abusufian7389@gmail.com : .com : sk .com
  2. ashfakur85@gmail.com : আশফাকুর রহমান : Ashfakur Rahman
  3. b.c.s.bipro@gmail.com : বিপ্র দাস বিশু বিত্রম : Bipro Das
  4. zihad0292@gmail.com : Zihad Ul Islam Mahdi : Zihad Ul Islam Mahdi
  5. ahmedmdmahfuz@gmail.com : মোঃ মাহফুজ আহমদ : মোঃ মাহফুজ আহমদ
  6. nazimahmed2042@gmail.com : Najim Ahmed : Najim Ahmed
  7. shahadotchadni@gmail.com : Md Sh : Md Sh
  8. ashfakur86@gmail.com : শুদ্ধবার্তা ডেস্ক : SB 24
  9. shuddhobarta24@gmail.com : shuddhobarta24@ : আবু সুফিয়ান
  10. surveyor.rasid@gmail.com : Abdur Rasid : Abdur Rasid
ঈদের চতুর্থ দিনেও রক্তভেজা সড়ক, ঝরল ২১ প্রাণ        
রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:১৭ অপরাহ্ন

ঈদের চতুর্থ দিনেও রক্তভেজা সড়ক, ঝরল ২১ প্রাণ

  • সংবাদ প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ১৫ আগস্ট, ২০১৯

অনলাইন ডেস্ক : ঈদুল আজহার চতুর্থ দিন বৃহস্পতিবারেও সড়ক কেড়ে নিয়েছে ২১ জনের প্রাণ। এর মধ্যে ফেনীতে আটজন, কিশোরগঞ্জে তিনজন, ফরিদপুরে তিনজন, ময়মনসিংহে দুজন, সিরাজগঞ্জে দুজন, গোপালগঞ্জে একজন, টাঙ্গাইলে একজন ও ভোলায় একজন। এর আগে ঈদের ছুটিতে সড়ক কেড়ে নিয়েছে ৪৫ জনের প্রাণ।এ ব্যাপারে আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক, আঞ্চলিক অফিস ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর

ফেনী : ফেনীতে মহাসড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস গাছের সাথে ধাক্কা লেগে আট যাত্রী নিহত ও ২০ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ফেনী সদর উপজেলার লেমুয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে দুজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। এরা হলেন বিক্রমপুরের সুজন মিয়া ও ঢাকার শাহাদাত হোসেন।

পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী ও আহতরা জানান, রাজধানীর মিরপুর থেকে প্রাইম পরিবহনের একটি পিকনিক বাস বৃহস্পতিবার সকালে কক্সবাজার যাচ্ছিল। বাসটি লেমুয়া এলাকা অতিক্রমের সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সজোরে মহাসড়কের বাইরে গাছের সাথে ধাক্কা লেগে সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে ছয়জন মারা যায়। পরে ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পর আরো দুজন মারা যান। এদের মধ্যে একটি শিশুও আছে।

ফেনীর মহিপাল হাইওয়ে থানার ওসি মো. শাহজাহান খান জানান, খবর পেয়ে হাইওয়ে পুলিশ দ্রুত আহতদের উদ্ধার করে ফেনী সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। ফেনী সদর হাসপাতালের আরএমও ডা. আবু তাহের বলেন, আহত ২০ জনকে ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তাদের মধ্যে সাতজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বাকিদের ফেনী সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

কিশোরগঞ্জ : কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীর আচমিতায় ইটবোঝাই পিকআপ ভ্যানের সঙ্গে মুখোমুখী সংঘর্ষে আজ বৃহস্পতিবার একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। একই ঘটনায় আরো চার যাত্রী গুরুতর আহত হন। নিহতরা হচ্ছেন করিমগঞ্জের নিয়ামতপুর গ্রামের জামাল উদ্দিন (৩০), ইটনার জয়সিদ্ধির তোফাজ্জল হোসেন (২৮) ও একই গ্রামের ওমর ফারুক (২২)। নিহত জামাল ছিলেন সিএনজিঅটোর চালক।

গুরুতর আহত চারজনকে কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আহতরা হচ্ছেন আব্দুল কাদির (২৯), পরিমল (২২), মো. সিরাজ উদ্দিন (৫০) ও গিয়াস উদ্দিন (৩৮)। আহতদের সবাই হাওরের ইটনা উপজেলার জয়সিদ্ধ ইউনিয়নের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী, পুলিশ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আজ বৃহস্পতিবার সকালে যাত্রীবাহী একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা কিশোরগঞ্জ থেকে ভৈরবের দিকে যাচ্ছিল। অটোরিকশাটি কিশোরগঞ্জ-ভৈরব আঞ্চলিক মহাসড়কের আচমিতা ইউনিয়ন পরিষদের সামনে পৌঁছাতেই বিপরীত দিক থেকে আসা ইটবোঝাই একটি পিকআপ ভ্যানের সঙ্গে মুখোমুখী সংঘর্ষ হয়।

এতে সিএনজিচালক ঘটনাস্থলেই নিহত হন। বাকিদের উদ্ধার করে বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক আহত তোফাজ্জল ও ওমর ফারুককে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় সাতজন হতাহত হওয়ায় সিএনজি অটোর যাত্রীর সংখ্যা নিয়ে দেখা দিয়েছে বিভ্রান্তি। কেউ কেউ বলছেন, ছয়জনের স্থলে সিএনজি অটোতে সাতজন যাত্রী ছিলেন। সে কারণে চালক গাড়ি সামলাতে না পারায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।

কটিয়াদী মডেল থানার ওসি আবু শামা মো. ইকবাল হায়াত জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় তিনজন মারা গেছেন। গুরুতর আহত আরো চারজনকে পুলিশ উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেখানেই তাদের চিকিৎসা চলছে।

ফরিদপুর : ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার নওয়াপাড়া সেতুর কাছে বিপরীতমুখী দুটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে বাসচালক ও নারীসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১৫ জন। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে। তবে এখন পর্যন্ত নিহত দুজনের নাম জানা যায়নি।

ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ওসি আতাউর রহমান জানান, আজ সকালে ফরিদপুর থেকে টেকেরহাটগামী একটি লোকাল বাসের সাথে বিপরীতমুখী বরিশাল থেকে রংপুরগামী তুহিন পরিবহনের একটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই লোকাল বাসের চালক ও এক নারী যাত্রী নিহত হয়। আর এ ঘটনায় আহত হয়েছে ১৫ জন। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে। পরে হাসপাতালে আরো একজন নিহত হয়েছেন। নিহত দুজনের মরদেহ ভাঙ্গা হাইওয়ে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে বলে তিনি জানান।

ময়মনসিংহ : ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর উপজেলায় শিশুসহ সড়ক দুর্ঘটনায় দুজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন নিহত শিশুর মাসহ আরো পাঁচজন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা-হালুয়াঘাট  মহাসড়কের ইমাদপুর মোদকবাড়ি নামক স্থানে ঢাকাগামী সোনার বাংলা পরিবহনের বাস ও শেরপুরগামী সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে এ দুর্ঘটনা ঘটে।নিহতরা হলো শিশু জায়েদ (৬) ও সিরাজ (৪৫)। নিহত জায়েদ শেরপুর জেলার কালিবাড়ী চেঙ্গুরিয়া গ্রামের আব্দুল মালেকের শিশুপুত্র। অপরদিকে নিহত সিরাজের বাড়ি শম্ভুগঞ্জ সদর এলাকায়।

জানা যায়, সিএনজি দিয়ে শেরপুর যাবার পথে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা দ্রতগামী সোনার বাংলা ইমাদপুর মোদকবাড়ি নামক স্থানে যাত্রীবাহী একটি সিএনজির সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে সিএনজিটি দুমড়ে-মুচড়ে হয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে শিশু জায়েদ মারা যায়। আহতদের উদ্ধার করে ফুলপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা সিরাজ (৪৫) তামান্না (২৬) বেগম (৩৫) মালেকা (৩০) ও নিহত শিশুর মা কাজলী বেগম (৩৬) কে মুমূর্ষু অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। সেখানে চিকিৎসকরা সিরাজকে মৃত ঘোষণা করেন। তাদের মধ্যে তামান্নার অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানান চিকিৎসকরা। ফুলপুর থানার ওসি ইমারত হোসেন গাজী জানান, এ ব্যাপারে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সিরাজগঞ্জ : সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে উপজেলার কোনাবাড়ী এলাকায় যাত্রীবাহী তিনটি বাসের ত্রিমুখী সংঘর্ষে দু’জন নিহত। এতে আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৩০ জন। বৃহস্পতিবার বিকেল পৌনে ৩টার দিকে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে বলে জানা গেছে। বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই)  জহুরুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

গোপালগঞ্জ : গোপালগঞ্জে প্রাইভেট কার ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে তুহিন মোল্লা (৩২) নামে এক মোটরসাইকেলে আরোহী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় তুহিনের স্ত্রী সাথী বেগম (২৫) গুরুতর আহত হন। আহত সাথী বেগমকে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার গোপালপুর নামকস্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত তুহিন মোল্লা গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার লতিফপুর ইউনিয়নের ঘোষেরচর উত্তরপাড়া গ্রামের আশরাফ মোল্লার ছেলে।

কাশিয়ানী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) প্রকাশ সরকার জানিয়েছেন, কাশিয়ানীর ভাটিয়াপাড়া থেকে তুহিন মোল্লা স্ত্রী সাথী বেগমকে সঙ্গে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে কাশিয়ানী থেকে বাড়িতে ফিরছিলেন। পথিমধ্যে গোপালপুর নামকস্থানে বিপরীতমুখী একটি প্রাইভেট কারের সাথে তাদের মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে তুহিন মোল্লা নিহত হন এবং তার স্ত্রী গুরুতর আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

টাঙ্গাইল : টাঙ্গাইলের সখীপুরে পিকআপভ্যানের চাপায় ইসতিয়াক আহমেদ (১৭) নামে এক কলেজছাত্র নিহত হয়েছেন। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সখীপুর-গোড়াই সড়কের বোয়ালী উত্তরপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। ইসতিয়াক আহমেদ পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের শাকিল আজাদের ছেলে। তিনি সরকারি মুজিব কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন।

সখীপুর থানার ওসি আমির হোসেন জানান, সকালে ইসতিয়াক আহমেদ মোটরসাইকেলযোগে সখীপুর থেকে নলুয়া যাওযার সময় বোয়ালী উত্তরপাড়া এলাকায় পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি পিকআপভ্যান তাকে চাপা দিয়ে চলে যায়। এ সময় তিনি মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে গিয়ে রাস্তায় পড়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন।

ভোলা : ভোলায় মাহিন্দ্রচাপায় পারভেজ (৬) নামে এক শিশু নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ওই এলাকার ব্যারিস্টার কাঁচারিবাজারে এ ঘটনা ঘটে। নিহত পারভেজ ভোলার সদর উপজেলার পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ব্যারিস্টার কাঁচারি এলাকার মো. শাহাবুদ্দিনের ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, দুপুরের দিকে শিশুটি তার বাড়ি থেকে বিস্কুট কেনার জন্য বাজারে আসে। এ সময় যাত্রীবাহী একটি মাহিন্দ্র ইলিশা ফেরিঘাট থেকে যাত্রী নিয়ে ভোলা আসছিল। বাজারে অন্য একটি গাড়িকে সাইড দিতে গিয়ে শিশুটিকে চাপা দেয় মাহিন্দ্রটি। এতে শিশুটি আহত হলে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এর আগে ঈদের ছুটিতে সড়ক কেড়ে নিয়েছে ৪৫ জনের প্রাণ। এর মধ্যে বগুড়ার শাজাহানপুরে পাঁচজন, রংপুরে চারজন, দিনাজপুরে চারজন, রাজধানী ঢাকায় তিনজন, মানিকগঞ্জের ঘিওরে তিনজন নিহত হয়েছে। এদিকে কুমিল্লার দেবীদ্বার ও চান্দিনা, নরসিংদীর শিবপুর, গাইবান্ধা, সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ, টাঙ্গাইলের ঘাটাইল, গোপালগঞ্জ ও লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে দুজন করে মারা গেছে। এ ছাড়া নাটোরের বড়াইগ্রাম, যশোরের মণিরামপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর, চট্টগ্রামের হাটহাজারী, নওগাঁর ধামইরহাট ও সাপাহার, মাদারীপুরের রাজৈর, ময়মনসিংহের ফুলপুর, গফরগাঁও ও মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় একজন করে নিহত হয়েছে।

এই বিভাগের আরো সংবাদ
shuddhobarta24
Privacy Overview

This website uses cookies so that we can provide you with the best user experience possible. Cookie information is stored in your browser and performs functions such as recognising you when you return to our website and helping our team to understand which sections of the website you find most interesting and useful.